রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন আরো ১৪৩ রান। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১০ উইকেট। পঞ্চম দিনে এই রান তোলা মোটেও সহজ কাজ হবে না। পাশাপাশি বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। তাতে কমে আসতে পারে দিনের মোট ওভারের সংখ্যা। সবমিলিয়ে শেষদিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষায় রাওয়ালপিন্ডি।

বৃষ্টির পর এবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আলোর স্বল্পতা। রান তাড়ায় বেশ উড়ন্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম শুরু থেকেই চড়াও হন পাকিস্তানি বোলারদের ওপর। ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা সফররত বাংলাদেশ চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ছয় ওভারে তোলে ৩৭ রান।

দিন শেষে ৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানের জয়ের লক্ষ্য থেকে ১৪৩ রান দূরে রয়েছে তারা। দুই ওপেনার জাকির হাসান ২৩ বলে ৩১* রানে ও সাদমান ইসলাম ১৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত আছেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো করেছিল তৃতীয় দিনে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান। তবে ৯ ওভার পরেই ছন্দ হারায় পাকিস্তান। ২০ রান করে সাইম আইয়ুব আউট হলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পাক অধিনায়ক শান মাসুদ।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি বাবর আজমও। ১৮ বলে ১১ রান করে নাহিদ রানার দ্বিতীয় শিকার হন এই তারকা ব্যাটার। এতে দলীয় ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সাউদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছেন রিজওয়ান। কিন্তু ২ রান করে নাহিদ রানার তৃতীয় শিকার হন শাকিল।

এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ মিস করেন সাদমান। সেই সুযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই তারকা ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আঘা সালমান।

তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরেই রিজওয়ানের প্রতিরোধের দেওয়াল ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ আউট করেন তিনি। পরের বলেই মোহাম্মদ আলি আউট হলে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ।

শেষ দিকে দলের হাল ধরেন আঘা সালমান। কিন্তু মির হারমাজাকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেন হাসান মাহমুদ। সেই সঙ্গে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ১৮৪ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। আরেক তরুণ পেসার নাহিম রানা নেন ৪ উইকেট। বাকি একটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন।

এর আগে তৃতীয় দিনের শেষ সময়ে পাকিস্তানের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৩ ওভার ৪ বল খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ৬ রানে অপরাজিত ছিল সাইম আইয়ুব।